শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিন) কর্তৃক বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও পিকাপ গাড়ি সহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৪ জন ডাকাত গ্রেফতার। কেরাণীগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে — গয়েশ্বর কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিজয় র‌্যালী। গণঅভ্যুত্থান দিবস ও সরকার পতনের বর্ষপূর্তিতে চাঁদপুরে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের বিজয় র‍্যালি। সীমাহীন যাত্রী ভোগান্তি চরমে কদমতলী এলাকায় ডিসি কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন কেরানীগঞ্জে তরুণরা। চাঁদপুরে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কনে ফুটে উঠল রক্তাক্ত জুলাই ‘২৪-এর রঙে’ শিক্ষার্থীদের তুলিতে স্বাধীনতার বীরগাঁথা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজি বিরোধী অভিযানে সেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার ।

এমভি নাসরিন- ১ ডুবি : ১৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে

২০০৩ সালে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মোহনায় এমভি নাসরিন-১ ডুবির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার হাইকোর্টের রায়ে নিহতদের প্রতি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে এবং আহত অবস্থায় বেঁচে থাকাদের এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার এ সংক্রান্ত জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে রায় দেন।

শুনানিতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও সুব্রত চৌধুরী। অন্যদিকে এমভি নাসরিন-১ এর মালিকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, অ্যাডভোকেট রাফসান আলভী ও ইশরাত হাসান।

রায়ে নিহতদের প্রতি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে এবং আহত অবস্থায় বেঁচে থাকা মানুষদের এক লাখ টাকা করে দিতে বলা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন লঞ্চমালিক কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় ২০০৩ সালের ৮ জুলাই এমভি নাসরিন-১ ডুবিতে ১১০ জনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হন ১৯৯ জন। ওই দুর্ঘটনায় লঞ্চটির মালিকও নিহত হন।

একই বছর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক লঞ্চডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত চারশ জনের তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী নৌ-দুর্যোগ ট্রাস্টি বোর্ড নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়। যার পরিমাণ ৭০ লাখ টাকার ওপর।

কিন্তু নিহত ব্যক্তিদের দেয়া ক্ষতিপূরণ অপ্রতুল দাবি করে ২০০৪ সালে ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে নিহত ১২১ জনের পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ মামলা করে ব্লাস্ট। মামলায় ২৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host